জীবনে প্রকৃত সুখী হওয়ার দশটি মূলমন্ত্র কী?


 আমার জীবন থেকে উপলব্ধি সরূপ কিছু মূলমন্ত্র বলছি। যদিও আমি সেইরকম কিছু করতে পারি নি, তবুও সুখি একজন মানুষ


🔺আমাদের জীবনটা, প্রবাহমান নদী এর মত পরিবর্তন ঘটে চলেছে। সুখ জিনিসটা ধরা ছোয়া যায় না, এটাকে অনুভব করতে হয়। এমন কোন মানুষ নাই, যার জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত সুখে পরিপূর্ণ আছে।


🔺 সুখে থাকতে হলে, প্রথমত পৃথিবীর এই ক্ষনস্থায়ী জীবন থেকে আপনার Expectation কমাতে হবে। জীবনে অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটবে, এইগুলোকে যদি ভাবেন ভাগ্যে ছিল তাই হয়েছে, তাহলে সবসময়ই, বাইরের পরিবেশ নির্ধারণ করে দিবে আপনি সুখি হবেন নাকি অসুখি।


🔺 পৃথিবীর সবকিছু আপনার ইচ্ছাতে হবে না, সবকিছু আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ও না। কি দরকার আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরের কিছুর জন্য আক্ষেপ করার। Suppose কেউ আপনাকে ভাল না বাসলে, সেটাকে যদি আপনার অসুখি হওয়ার কারন হিসেবে মনে করেন, পৃথিবীর কারো সাধ্য নাই আপনাকে সুখি করার।


🔺 অন্যজন আপনাকে ভাল বাসবে কিনা এটা তার ইচ্ছা, আপনার নিয়ন্ত্রণে নাই। বাইরের ঘটনার প্রভাব থেকে নিজেকে যতটা দূরে রাখবেন, তত সুখি হতে পারবেন।


🔺 কেউ ছেঁড়া জুতা, ছেঁড়া জামা পরে সুখি আছেন, কারো দামী brand এর জামা, জুতা থাকা স্বত্বেও অসুখী।আপনি মানেন আর না মানেন, অসুখী মানুষের অনেক expectation থাকে।


🔺 আপনি মনে করছেন Buet এ পড়তে পারলে জীবনটা মনে হয় ভাল হত, আর Buet পড়ুয়া একজন মনে করছে Harvard এ পড়তে পারলে মনে হয় জীবনটা অনেক সুন্দর হত। তাহলে কে সুখী?


🔺 আমরা নিজেরা নিজের অবস্থানে সুখী না, অন্যের লাইফের সাথে তুলনা করতে করতে আমাদের জীবনটা শেষ হয়ে যায়। অন্যদের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হলে, অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করলে, সুখ আপনার ঘরের ventilator দিয়ে পালাবে।


🔺 নিজের সুখের জন্য অন্যের দ্বারস্থ হবেন না, এটা আপনাকে সুখি রাখবে না, যদি অন্যের ইচ্ছার উপর আপনার ভাল থাকা নির্ভর করে। তিক্ত হলেও সত্যি, আপনাকে, আপনার চেয়ে ভাল কেউ বোঝে না।


নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন, এটা আমাদের জীবনের সুখ গুলোকে ঠেলে সরিয়ে দেয়।


সর্বশেষ, নিজেকে বেশি ভালবাসুন, এই একটা ব্যাপারে যার নিয়ন্ত্রণ আছে, তার জীবন অসুখি হতে পারে না।



সবাইকে ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য ❤️